December 22, 2024, 3:02 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকদের কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া মাল্টি লেভেল মার্কেটিং কোম্পানি সানরাইজ বিজনেস সার্ভিস লিমিটেড (এসবিএসএল) ’র ‘নিঁখোজ’ ৫ জনসহ মোট ৮ জনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১২ কুষ্টিয়া।
প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১২ এর কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান।
গ্রেপ্তাররা হলেন- কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বেতবাড়িয়া হাসান আলী (২৮), একই উপজেলার মহেন্দ্রপুর গ্রামের আঙুল হান্নান (৪৩), ওয়াাশী গ্রামের ছেলে মোস্তফা রাশেদ পান্না (৪৭), বাঁশগ্রামের আইয়ুব আলী (২৮), বহুলবাড়িয়া গ্রামের হাফিজুর রহমান (২৮)। তাদের কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসবিএসএল কোম্পানির চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন (২৯), কোম্পানীর ফিন্যান্স ডাইরেক্টর ও কুমারখালীর গোবরা গ্রামের ইমরান হোসেন (২৮) এবং কোম্পানীর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মহসীন আলী।
এদের মধ্যে প্রথম ৫জনকে প্রশাসন পরিচয়ে গত ২৪ আগস্ট কুমারখালীর বিভিন্ন গ্রাম তুলে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে কুমারখালী থানাতে দুটি সাধারণ ডায়েরীও হয়।
ঐ র্যাব কর্মকর্তা ‘তুলে নেয়ার’ বিষয়টি এড়িয়ে জানান ঐ প্রথম ৫জনকে গ্রেফতার করে জ্ঞিাসাবাদের পর বাকি ৩জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি জানান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার বিষয়টগ্রেফতার সবাই স্বীকার করেছেন।
র্যাব জানায় এসবিএসএল কোম্পানির বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার মিরপুর ও কুমারখালী থানায় দুটি মামলা রয়েছে। এছাড়া কোম্পানির চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে দুটি চেক জালিয়াতির মামলা, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মহসিন আলীর বিরুদ্ধে একটি চেক জালিয়াতি ও পাঁচটি স্ট্যাম্প জালিয়াতির মামলা এবং ফিন্যান্স ডাইরেক্টর ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে দুটি চেক জালিয়াতির মামলা রয়েছে।
র্যাব কর্মকর্তা জানান , কুষ্টিয়ায় জেলায় এসবিএসএল গ্রাহকদের বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যায়। কোম্পানিটির প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সর্বশান্ত হয়েছে প্রায় ৩০০ পরিবার।
কুষ্টিয়া ছাড়াও ওই কোম্পানি ঝিনাইদহ, মাগুরা, যশোর, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা, রাজশাহী জেলায় প্রতারণা করেছে। প্রতারণার জন্য তারা নিজস্ব ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে গ্রাহকদের বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করে ১ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে কোম্পানির আইডি খুলতে বলে। প্রতি আইডি থেকে প্রতিদিন ১০ টাকা ও আইডি বাবদ প্রদান করা ১২০০ টাকার সমমূল্যের পণ্য দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হতো। শুরুর দিকে কিছু গ্রাহক টাকা ও পণ্য পাওয়ার কারণে অনেকেই আইডি খুলতে উৎসাহিত হয়েছিল। এক সময় গ্রাহকদের লভ্যাংশের টাকা দিতে ব্যর্থ হয়ে আত্মগোপনে চলে যায় প্রতারক চক্র।
Leave a Reply